চলতি বিশ্বকাপে আজ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে এ ম্যাচে আজ নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই মাঠে নামে টাইগাররা। পুনেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতে উড়ন্ত সূচনা পান দুই টাইগার ওপেনার লিটস দাস এবং তানজিদ তামিম। তবে এরপরই সেই চিরচেনা ব্যাটিং বিপর্যয়ে লাল-সবুজের দল। দুই ওপেনারের পর আজ আর ইনিংস বড় করতে পারেননি কোনো টপ অর্ডার।
ওপেনিংয়ে লিটনের ৬৬ রানের পর শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৬ বলে ৪৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ দাড়িয়েছে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আজ ধীরে-সুস্থেই খেলা শুরু করেছিলেন লিটন-তামিম।
এ দুইজন প্রথম ৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০ রান। লিটন তো রানের খাতা খুলতেই খেলেন ১৪ বল। তবে এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন দুইজন। ফলশ্রুতিতে গড়েছেন দুর্দান্ত রেকর্ড। এবারের আসরে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান এসেছে আজ। দুজন মিলে খেলেছেন পাওয়ার প্লের পুরোটাই, রান তুলেছেন ৬৩।
এরপর লিটন-তামিমের জুটি স্থায়ি হয় ১৪.৪ ওভার পর্যন্ত। দলীয় ৯৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি এটিই। এদিকে রেকর্ড জুটি গড়ার পথে তামিম তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। তবে ৪৪ বলে ফিফটির দেখা খেলেও নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি তিনি।
৪৩ বলে ৫ চার এবং ৩ ছয়ে ৫১ রান করে কুলদীপ যাদবের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এদিকে ৯৩ রানে তামিম সাজঘরে ফেরার পরই বাঁধে বিপত্তি। এরপর দ্রুত তিন উইকেট হারায় টাইগাররা।
ব্যক্তিগত ৮ রানে জাদেজার বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে অধিনায়ক শান্ত আউট হবার পর দলীয় ১২৯ রানে সাজঘরে ফিরেন মেহেদী মিরাজও। আউট হবার আগে তিনি করেছেন ৩ রান। এরপর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। তবে এ দুজনের জুটিও আজ আশা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশকে।
ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ফিফটি তুলে নেয়া লিটন ৮২ বলে ৬৬ রান করে আউট হন দলীয় ১৩৭ রানে। লিটন ফেরার পর হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেন ৪২ রান। তবে এ জুটি ভাঙে দলীয় ১৭৯ রানে হৃদয় ৩৫ বলে ১৬ রান করে আউট হলে।
এরপর দলীয় ২০১ রান পূরণ হতেই আউট হন বিশ্বকাপে এক হাজার রানের মাইলফলক ছোয়া মুশফিকও। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ৩৮ রান। এরপর বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ২৫৬ রান পর্যন্ত পৌঁছেছে রিয়াদের কল্যাণে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার শেষ দিকে দেখেশুনে খেলে সমান ৩টি করে চার এবং ছয়ে করেছেন ৩৬ বলে ৪৬ রান।
শেষ ওভারে বুমরাহর এক ইয়র্কারে বোল্ড হপ্যে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তাঁর এই প্রায় অর্ধশতক ছোয়া ইনিংসের কল্যাণেই শেষ পর্যন্ত ২৫৬ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জাদেজা, সিরাজ এবং বুমরাহ।